শিরোনামটি, ‘বিধবা বরফ কুমারী’, একটি কৌতূহলোদ্দীপক চিত্রকল্প তৈরি করে। এটি এমন এক মহিলার কথা বলে যিনি একদিকে বিধবা, সমাজের চোখে অভিজ্ঞতা ও বেদনার প্রতিচ্ছবি, অন্যদিকে বরফের মতো শীতল ও অনিন্দ্য সুন্দরী।
এখানে ‘বিধবা’ শব্দটি সমাজের সেই অংশে প্রচলিত প্রথা ও বাস্তবতার প্রতি ইঙ্গিত করে, যেখানে একজন নারী তার স্বামীর মৃত্যুর পর নানা ধরনের সামাজিক ও মানসিক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হন।
অন্যদিকে, ‘বরফ কুমারী’ শব্দটি একটি রূপক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। বরফ যেমন শীতল, তেমনই এই নারী সম্ভবত আবেগ ও অনুভূতি প্রকাশের ক্ষেত্রে কিছুটা কঠিন। আবার বরফের শুভ্রতা তার সৌন্দর্য ও পবিত্রতার প্রতীক।
পুরো শিরোনামটি একটি রহস্য তৈরি করে। কেন এই নারীকে ‘বরফ কুমারী’ বলা হচ্ছে? তার ভেতরের কষ্টগুলোই কি তাকে এমন শীতল করে তুলেছে, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে?
এই চিত্রকল্পটি একই সাথে আকর্ষণীয় ও ভাবগম্ভীর। এটি এমন এক নারীর গল্প বলতে চায়, যিনি সমাজের চাপ এবং ব্যক্তিগত শোকের মধ্যে নিজের সৌন্দর্য ও সত্তাকে ধরে রেখেছেন।
এটি আমাদের সেই নারীদের কথা মনে করিয়ে দেয়, যারা প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও ভেঙে পড়েন না, বরং নিজেদের শক্তিতে বাঁচতে শেখেন।
এই শিরোনামটি কেবল একটি চিত্রণ নয়, এটি একটি বার্তা। এটি সেই নারীদের প্রতি সম্মান জানায়, যারা জীবনের কঠিন পথ অতিক্রম করে নিজেদের পরিচয় তৈরি করেন।









