রান্নাঘরের কোণে, যেখানে সূর্যের আলো এসে পড়ে, সেখানে এক তরুণী, যেন এক স্বপ্ন। তার নাম হয়তো কবিতা, অথবা অন্য কিছু। সে সেজেছে এক কিচেন ন্যাপলারের রূপে। তার চোখে এক গভীর চাহনি, যেন সে অনেক কথা বলতে চায়।
কবিতার প্রতিটি কাজ যেন এক একটি কবিতা। যখন সে ছুরি হাতে সবজি কাটে, তখন মনে হয় যেন সে কোনো সুর সৃষ্টি করছে। তার হাতের স্পর্শে আলু, পিয়াজ, টমেটো যেন নতুন জীবন পায়।
কিন্তু এই কিচেন ন্যাপলারের জীবনেও কিছু রহস্য আছে। তার হাসি মুখের আড়ালে লুকিয়ে আছে কিছু গোপন কথা। হয়তো সে তার পরিবারের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে, অথবা তার জীবনে কোনো দুঃখ আছে যা সে কাউকে বলতে পারে না।
একদিন, এক সন্ধ্যায়, কবিতা রান্নাঘরের জানালা দিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে থাকে। দূরে দেখা যায় গ্রামের সবুজ মাঠ, আর আকাশের বুকে লাল সূর্য। তার মনে হয়, সে যেন এই পৃথিবীর অংশ নয়। সে চায় মুক্তি, সে চায় নতুন জীবন।
কবিতার এই কাহিনী আমাদের সমাজের অনেক নারীর জীবনের প্রতিচ্ছবি। তারা সংসারের জন্য নিজেদের স্বপ্ন বলিদান করে, কিন্তু তাদের কথা কেউ শোনে না। এই কিচেন ন্যাপলারের রূপে কবিতা যেন সেই সব নারীদের প্রতীক।









