হিনাজির কোমল রূপ: এক বিধবা বরফ কুমারীর কাহিনী।
জাপানের এক নিভৃত গ্রামে, বরফের মতো সাদা ত্বক আর গভীর বিষণ্ণ চোখ নিয়ে বাস করত হিনাজি নামের এক তরুণী। অল্প বয়সেই সে তার স্বামীকে হারিয়েছিল। গ্রামের মানুষ তাকে ‘বিধবা বরফ কুমারী’ নামে ডাকত।
হিনাজির জীবন ছিল কষ্টের। স্বামীর মৃত্যুর পর সে একা হয়ে গিয়েছিল। তার কোনো সন্তান ছিল না, ছিল না কোনো অবলম্বন। গ্রামের মানুষ তাকে করুণা করত, কিন্তু সাহায্য করার মতো কেউ ছিল না।
একদিন, এক পর্যটক গ্রামে এসে হিনাজির রূপে মুগ্ধ হয়ে যায়। সে ছিল একজন ফটোগ্রাফার। হিনাজিকে দেখে তার মনে হয়েছিল, যেন সে কোনো দেবী। ফটোগ্রাফার হিনাজিকে মডেল হওয়ার প্রস্তাব দেয়। প্রথমে রাজি না হলেও পরে গ্রামের অভাবের কথা ভেবে রাজি হয়।
ফটোগ্রাফার হিনাজির অনেক ছবি তোলে। সেই ছবিগুলো খুব দ্রুত ছড়িয়ে পরে। হিনাজি রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে যায়। তার সৌন্দর্য দেখে সবাই মুগ্ধ হয়ে যায়।
হিনাজি বুঝতে পারে, তার রূপই তার জীবনের মোড় ঘোরাতে পারে। সে সিদ্ধান্ত নেয়, আর কষ্ট নয়, এবার সে নিজের জীবন নিজের মতো করে বাঁচবে।
কিন্তু খ্যাতি সবসময় সুখ নিয়ে আসে না। হিনাজিকে নিয়ে শুরু হয় নানা সমালোচনা। গ্রামের মানুষ তার মডেল হওয়া নিয়ে খারাপ কথা বলতে শুরু করে।
হিনাজি দমে যায় না। সে প্রমাণ করতে চায়, একজন বিধবাও নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে। সে আরও পরিশ্রম করে এবং একজন সফল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
হিনাজির গল্প অনুপ্রেরণা দেয় उन सभी নারীদের, যারা জীবনের কঠিন পরিস্থিতিতেও হার মানতে রাজি নয়।









